ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়

ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়? আমরা অনেকেই এ বিষয়টি সম্পর্কে জানিনা। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়? সে সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। যেহেতু বিভিন্ন মুহূর্তে আমাদের ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এই আর্টিকেলে ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়? সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়

ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়ঃ ভূমিকা

অনেক সময় স্বামী স্ত্রী দম্পতি অনিরাপদ সহবাস করে থেকে সাধারণত এই অনিরাপদ সহবাস থেকে গর্ভে বাচ্চা জন্ম না হয় সাধারণত এটি রোধ করার জন্য ইমার্জেন্সি পিল খেতে হয়। কিন্তু অনেক নতুন দম্পতি রয়েছে সাধারণত তারা জানে না কিভাবে এটি কাজ করে এবং ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়? সাধারণত তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।

আরো পড়ুনঃ মাথায় তেল দিলে কি খুশকি হয় - খুশকি হলে করণীয়

এখানে আরো থাকবে কেন ইমার্জেন্সি পিল খেতে হয়? ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কারণ, ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি হয়? ইমার্জেন্সি পিল না খেলে কি হয়? ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে তারপরে এটি ব্যবহার করবেন।

কেন ইমার্জেন্সি পিল খেতে হয় - ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কারণ

যারা নতুন বিবাহ করেছে সাধারণত তারা কেন ইমার্জেন্সি পিল খেতে হয়? এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেনা। কিন্তু একজন নারী এবং তার সঙ্গে পুরুষের ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরী। আর আপনি যদি তাড়াতাড়ি সন্তান না নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে হবে।

ইমার্জেন্সি পিল সাধারণত অনিরাপদ সহবাসের তিন দিনের ভেতর সেবন করা হয় ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করা যায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইমার্জেন্সি বিল পাওয়া যায় যেগুলোর মধ্যে কিছু ৭২ ঘন্টার ভেতরে খেতে হয় আবার কিছু ১২০ ঘন্টার ভেতরে খাওয়া যেতে পারে। আপনি যে ধরনের ইমার্জেন্সি পিল খান না কেন সেটি আপনার গর্ভধারণকে ৯৯% রোধ করতে পারে।

ইমার্জেন্সি পিল গর্ভপাত করায় না শুধুমাত্র ডিম্ব ফুটনের বা ওভুলেশনের সময়কে পিছিয়ে দেয়। ফলে শুক্রাণু ডিম্বানুতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় না এবং এটি জরায়ুতে নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে এটি গর্ভধারণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। তবে কখনো কখনো শুক্রাণু যদি দীর্ঘমেয়াদে সক্ষম থাকে তবে ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরেও গর্ভসঞ্চার হতে পারে।

ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি হয়

অসতর্কতা অথবা অনীরাবাদ যৌন মিলনের পর গর্ভধারণের ঝুঁকি কমাতে বেশিরভাগ মানুষ ইমার্জেন্সি পিল খেয়ে থাকে। সাধারণত এটি খেতে হলে কোন ধরনের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হয় না দোকানে এটি খুব সহজে পাওয়া যায়। এই ইমার্জেন্সি পিলের আরেক নাম হল মনিং আফটার পিল। আপনারা যারা জানেন না ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ইমার্জেন্সি পিল রয়েছে দুইটি হরমোন সাধারণত এই হলো জরুরী গর্ভনিরোধকের জন্য ভূমিকা রাখে। ইমার্জেন্সি পিল থেকে নিসরিত হরমোন ডিম্বাশয়কে ডিম্বাণু ছাড়তে বাধা দেয় এবং জরায়ুর ডিম্বাণুর সাথে শুক্রাণুযুক্ত হতে বাধা দিতে আপনার সার্ভিকাল মিউকাসকে ঘন করে দেয়। সাধারণত নিষিক্ত ডিম্বানু জরায়ুর দেয়ালে আটকে যায় এবং গর্ভাবস্থার পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ রক্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী জটিলতা হতে পারে

সাধারণত ইমার্জেন্সি পিল শুক্রাণুকে জরায়ুর মধ্যেই নষ্ট করে দিতে পারে। যার ফলে নারীরা অসময়ে গর্ভধারণ থেকে রক্ষা পায়। সাধারণত এই জন্য নারীরা অনিরাপদ যৌন মিলনের পরেই ইমার্জেন্সি পিল খেয়ে থাকে। এই ইমার্জেন্সি পিল গর্ভপাত ঘটায় না। তবে আপনি যদি গর্ভপাত ঘটাতে চান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ইমার্জেন্সি পিল না খেলে কি হয়

ইমার্জেন্সি পিল হলো একটি জন্ম নির্ধারক ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল। আপনারা যারা ইমার্জেন্সি পিল না খেলে কি হয়? এ বিষয়টি জানতে চান সাধারণত তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা অনেকেই জানি যে ইমার্জেন্সি পিল খেলে অসময়ে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকা যায়।

যে সকল দম্পতি যৌন মিলন করার সময় অনিরাপদ অবস্থায় করেছে সাধারণত তাদের জন্য ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহার করা হয়। এদের কাজ হল শুক্রাণুকে জরায়ুর মধ্যেই এর কার্যকারিতা নষ্ট করে দেওয়া। সাধারণত আপনি যদি অনিরাপদ যৌন মিলন করে থাকেন এবং ইমার্জেন্সি পিল না খেয়ে থাকেন তাহলে আপনি অসময়ে গর্ভবতী হবেন।

যদি আপনি এখন গর্ভবতী না হতে চান এবং সন্তানের মা অথবা বাবা না হতে চান তাহলে অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনিরাপদ যৌন মিলন এর পরপর ইমার্জেন্সি পিল খেতে হবে। না হলে আপনি গর্ভবতী হয়ে যেতে পারেন। সাধারণত অসময়ে গর্ভধারণ হতে পারে যদি ঠিক সময়ে ইমার্জেন্সি পিল না খাওয়া হয়ে থাকে।

ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি সমস্যা হতে পারে

আমরা জানি যে ইমার্জেন্সি পিল সাধারণত অসময়ে গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখে। কিন্তু ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়? এ সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা নেই। কিন্তু একজন নারীর ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার আগে ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়? এ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

১। ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব অথবা বমি হতে পারে।

২। ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার ফলে তীব্র মাথাব্যথা এবং যন্ত্রণা শুরু হয়ে যেতে পারে।

৩। ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার ফলে অল্পতেই ওজন বৃদ্ধি হয়ে যেতে পারে।

৪। পরবর্তী সময়ে গর্ভধারণের সমস্যা হতে পারে

৫। পরবর্তী ঋতুস্রাব সময়ের আগে অথবা দেরিতে হতে পারে।

৬। ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।

৭। অনেক সময় জরায়ু দিয়ে ফোটা ফোটা রক্ত বের হতে পারে।

৮। মাঝেমধ্যে চর্ম ও যৌন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

৯। মুখের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের দাগ এবং ব্রণ দেখা দিতে পারে।

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম

প্রতিটি ওষুধ খাওয়ার একটি নিয়ম রয়েছে। ঠিক তেমন ইমার্জেন্সি পিল খেতে হলে আপনাকে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে তারপরে খেতে হবে। যেহেতু আমরা অসময়ে গর্ভধারণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এটি খেয়ে থাকি তাই আমাদের যেন কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না হয় এবং দ্রুত কাজ করে সেজন্য ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইমার্জেন্সি পিল পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যেঃ

  • ৩ দিনের ইমার্জেন্সি পিল
  • ৫ দিনের ইমার্জেন্সি পিল
  • ২১ দিনের ইমার্জেন্সি পিল

৩ দিনের ইমার্জেন্সি পিল -- আপনি যদি দ্রুত এর সমাধান পেতে চান তাহলে আপনাকে ৩ দিনের ইমার্জেন্সি পিল খেতে হবে। ৩ দিনের ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে অনিরাপদ যৌন মিলনের ১২০ ঘন্টা অর্থাৎ পাঁচ দিনের মধ্যে খেতে হবে। তবে আপনি যদি এটি ৭২ ঘন্টার মধ্যে খেতে পারেন তাহলে সব থেকে বেশি কার্যকর হবে।

৫ দিনের ইমার্জেন্সি পিল -- বাজারে আরও একটি ইমার্জেন্সি পিল পাওয়া যায় সেটির মধ্যে অন্যতম হলো ৫ দিনের ইমার্জেন্সি পিল। এটি বর্তমানে বাজারে বেশি প্রচলিত। সাধারণত এটি অনিরাপদ যৌন মিলনের ১২০ ঘন্টা পরে সেবন করতে হয়। এই পিল সেবনের ফলে ডিম্বানু ও শুক্রাণু নিষিদ্ধকরণ প্রতিরোধ করে এবং খুব কম সময়ের মধ্যে এর কার্যকারিতা দেখা যায়।

আরো পড়ুনঃ ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি

২১ দিনের ইমার্জেন্সি পিল -- সাধারণত অনেক নারীরা জানে যে ২১ দিনের ইমার্জেন্সি পিল হল ফেমিকন। এটি হচ্ছে বাংলাদেশের বহুল প্রচলিত একটি পিল। এই পিলের প্যাকেটে ৩০ টির বেশি মতো বরি থাকে তার মধ্যে ৭টি বড়ি বাদামী রঙের এবং ২১ টি বড়ি সাদা রংয়ের হয়ে থাকে।

ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়ঃ উপসংহার

ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ধরনের সমস্যা হয়? কেন ইমার্জেন্সি পিল খেতে হয়? ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কারণ, ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি হয়? ইমার্জেন্সি পিল না খেলে কি হয়? ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি সমস্যা হতে পারে? ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।২০৮৭৬

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url