ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি

ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি? তা জানতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে নিচে উল্লেখিত তথ্য গুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি, তা জানতে পারবেন। তো আসুন দেখে নেয়া যাক ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি?

পেজ সূচিপত্র: ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি

ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি

আপনি যদি ফুসফুসের ইনফেকশন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। কেননা আপনি যদি ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি, তা জেনে রাখেন তাহলে খুব সহজেই ফুসফুসের ইনফেকশন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন। 

যে সকল উপায় অবলম্বন করে খুব সহজেই ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচা যায় সেই উপায় সমূহ নিচে তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি? তা জানতে পারবেন। 
  • চা বা কফি পান করুন: আপনি যদি ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত চা - কফি খেতে হবে। গ্রিন টি খেলে ভালো হয়, তবে ব্লাক টি খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ ক্যাফেইনযুক্ত যেকোন পানীয় খেলেই তা আপনার ফুসফুসের জন্য ভালো। 
  • আদা ও হলুদ মিশ্রিত চা: চায়ের সাথে আদা এবং হলুদ মিশ্রিত করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। তাই চা পান করে অধিক উপকার পাওয়ার জন্য চায়ের সাথে হলুদ এবং আদা মিশ্রিত করতে পারেন। 
  • গরম পানীয়: যেকোনো ধরনের গরম পানীয় পান করলেই তা ফুসফুসের জন্য উপকারী। তাই ফুসফুসের সংক্রমণ দূর করতে যেকোনো ধরনের গরম পানীয় খেতে পারেন। নিয়মিত কিছুদিন গরম পানি খেলে আশা করা যায় আপনি উপকৃত হতে পারবেন।
  • পেইন রিলিভার: ফুসফুসের ইনফেকশন এর কারণে যদি বুকে ব্যথা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি পেইন রিলিভার খেতে পারেন। তবে যেকোনো ধরনের ঔষধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত যদি আপনি পেইন রিলিভার খান সেক্ষেত্রে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় করতে পারেন। 
  • গরম পানি দিয়ে গোসল করা: গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও ফুসফুসের ইনফেকশন কমে আসে। তাই ফুসফুসের ইনফেকশন কমানোর জন্য আপনি নিয়মিত গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। 

কি কি উপায়ে ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করা যায়

কি কি উপায়ে ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করা যায়? সে বিষয়ে সম্পর্কে ইতিমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কি কি উপায়ে ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করা যায়, সেই বিষয়ে সম্পর্কে মিছে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি ফুসফুসের সংক্রমণ রক্ষা করার কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে নিচে উল্লেখিত তথ্য গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। 
  • চিকেন স্যুপ খেতে পারেন: ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করার জন্য চিকেন সুপ খাওয়া যেতে পারে। গরম চিকেন সুপ খেলে তা দুই দিক থেকে উপকার করে। প্রথমত তা গরম পানীয়র  কাজ করে, দ্বিতীয়ত চিকেন সুপে থাকা পুষ্টিগুণ ফুসফুসের প্রদাহ সহায়তা করে। 
  • ধূমপান পরিহার করা: ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ধূমপান সম্পূর্নরূপে পরিহার করতে হবে। আপনি যদি সম্পূর্ণরূপে ধূমপান পরিহারন না করেন তাহলে কখনোই ফুসফুসের ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাবেন না।
  • দূষিত বায়ু যুক্ত জায়গায় বসবাস করা থেকে বিরত থাকুন: দূষিত বায়ুযুক্ত জায়গায় বসবাস করলে ফুসফুসে ইনফেকশন হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে দূষিত বায়ুযুক্ত জায়গা পরিত্যাগ করতে হবে এবং দূষণ মুক্ত বায়ু গ্রহণ করতে হবে। 
  • মানসিক চাপ পরিহার করুন: যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ ফুসফুসের ইনফেকশন বৃদ্ধি করতে পারে। তাই ফুসফুসের ইনফেকশন থেকে নিরাপদ থাকতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সব ধরনের মানসিক চাপ পরিহার করতে হবে। 
  • ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন: সর্বশেষ ফুসফুসের ইনফেকশন থেকে রক্ষা পেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখবেন শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ তাই ফুসফুসের কোন সমস্যা হলে হাতুড়ে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত হবে না। ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই আপনাকে বড় ডাক্তার দেখাতে হবে। 

কিভাবে ফুসফুসকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করবেন

ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। কেননা ফুসফুসের ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। 

আপনি যদি আপনার ফুসফুস কে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। আশা করা যায় আপনি যদি নিচে উল্লেখিত পদ্ধতিসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করেন তাহলে ফুসফুস কে ইনফেকশন মুক্ত রাখতে পারবেন। 
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন: পর্যাপ্ত পানি পান করলে ফুসফুস কে ইনফেকশন এর হাত থেকে রক্ষা করা যায়। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, ফুসফুসকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করুন। 
  • লেবুর জুস পান করুন: ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করার অন্যতম আরেকটি উপায় হলো নিয়মিত লেবুর জুস পান করা। আপনি যদি নিয়মিত লেবুর জুস পান করতে পারেন তাহলে তা আপনার ফুসফুসের ইনফেকশন কে কমিয়ে আনবে।
  • হারবাল চা পান করুন: হারবাল খুবই উপকারী একটি পানীয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত হারবাল চা খেলে তা ফুসফুসের সংক্রমণকে কমিয়ে আনে। তাই আপনি নিয়মিত হারবাল চা খেতে পারেন। 
  • প্রাকৃতিক এসেনশিয়াল ওয়েল ব্যবহার করুন: এসেনশিয়াল ওয়েল ব্যবহার করলে ফুসফুসের ইনফেকশন বহুলাংশে কমে যায় তাই ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করার জন্য আপনি প্রাকৃতিক এসেনশিয়াল ব্যবহার করতে পারেন। 
  • মসলা যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন: মশালাযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে তা ফুসফুসের ইনফেকশন কে প্রশমিত করে তাই আপনি খাবারের সাথে মসলাযুক্ত করে খেতে পারেন। 

ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার ১০টি উপায়

ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি, সেই বিষয়ে সম্পর্কে ইতিমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। নিচে ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার আরো ১০টি উপায় তুলে ধরা হবে। আসুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার ১০টি উপায়। 
  • ফুসফুসের জন্য থাকা কফ বের করে ফেলুন।
  • সংক্রামক খাবার পরিহার করুন।
  • ফাস্টফুড পরিহার করুন।
  • সব ধরনের ভিটামিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
  • ভাব গ্রহণ করুন।
  • ওভার দা কাউন্টার ঔষধ গ্রহণ করুন।
  • লবন মিশ্রিত পানি দিয়ে গারগল করুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করুন।
  • গরম পানি পান করা।
  • তরল খাবার বেশি খান।

ফুসফুসে ইনফেকশন হলে ডাক্তার কিভাবে পরীক্ষা করে

ফুসফুসে ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় কি? সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। নিচে ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে কিনা? তা কিভাবে পরীক্ষা করবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে কিনা তা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে হবে। 
ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে আপনার ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে কিনা। এখন প্রশ্ন হলো: ফুসফুসে ইনফেকশন হলে ডাক্তার কিভাবে পরীক্ষা করে? ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। যে সকল পদ্ধতিতে ফুসফুসের ইনফেকশন পরীক্ষা করা হয় সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। 
  • রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমে।
  • অক্সিমেট্রি পরীক্ষার মাধ্যমে।
  • আর্টারিয়াল ব্লাড গ্যাস টেস্ট।
  • লাং বায়োসপি।
  • থোরাসিনথেসিস। ১৬৪১৩
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url