ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায়

ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায় নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। আমরা অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভুগি এর পরে সব থেকে বড় ব্রণের কালো দাগ। যদি ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে রাখতে পারি তাহলে খুব সহজেই এই দাগগুলো দূর করতে পারব। ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায় নিচের বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায়

ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায়

ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে থাকে ব্রণ। ভালো হয়ে যাওয়ার পরে ব্রণের দাগ আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এর ফলে যারা ত্বক নিয়ে একটু বেশি সচেতন তারা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে। আপনি যদি ব্রণের কালো দাগ দূর করতে চান তাহলে ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে কিভাবে ভালো থাকা যায়

ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায় উল্লেখ করা হলোঃ

  • মুলতানি মাটি ব্যবহার
  • শসার রস, মধু এবং চালের গুড়া
  • আপেল এবং মধুর মিশ্রণ
  • কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো
  • শসার রস
  • চন্দন কাঠের গুড়া এবং গোলাপজল
  • তুলসির পাতা
  • ডিমের সাদা অংশ
  • দারুচিনি এবং গোলাপজল
  • মধু এবং গোলাপজল

মুলতানি মাটি ব্যবহার - আমরা সকলেই জানি যে মুলতানি মাটি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মূলদানি মাটি আমাদের ত্বকের ভেতরের ময়লা গুলোকে বের করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই আপনি যদি ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং ব্রণের দাগ করতে চান তাহলে মুলতানি মাটি ব্যবহার করুন।

শসার রস, মধু এবং চালের গুড়া - আপনি যদি না জানেন তাহলে জেনে রাখুন যে শসার রস মুখে ব্রণ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। শসার রসের সাথে যদি আপনি চালের গুড়া এবং এর সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দিতে পারেন তাহলে এর কার্যকারিতা আরো বৃদ্ধি পাবে। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে উপকারিতা পাওয়া যাবে।

আপেল এবং মধুর মিশ্রণ - আপেল এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান এবং মধু আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ব্রণ এবং ব্রণের কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপেল এবং মধুর সংমিশ্রণে একটি প্যাক তৈরি করে সেটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহার করার ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ব্রণের কালো দাগ দূর হবে।

কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো - আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো চন্দন কাঠ। চন্দন কাঠের গুড়া আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। চন্দন কাঠের গুড়ার সাথে যদি কাঁচা হলুদ মিশিয়ে এবং সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে সেটির মুখে ব্যবহার করা যায় তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এর উপকারিতা পাওয়া যাবে।

শসার রস - আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে শসা আমাদের ত্বকের জন্য কার্যকরী। আমাদের চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য বেশ কার্যকরী। এছাড়া শসার রস তৈলাক্ততা দূর করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। তৈলাক্ত ত্বকে সাধারণত বেশি ব্রণ বের হয়ে থাকে।

চন্দন কাঠের গুড়া এবং গোলাপজল - গোলাপ জল আমাদের ত্বকের জন্য অত্যান্ত কার্যকরী এবং উপকারী একটি উপাদান। আপনি যদি ত্বক নষ্টকারী ব্রণ এবং ব্রণের কালো দাগ থেকে রেহাই পেতে চান তাহলে চন্দন কাঠের গুড়ার সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে গোলাপজল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন এরপর সেটি মুখে ব্যবহার করুন।

তুলসির পাতা - তুলসীর পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এছাড়া তুলসীর পাতা আরো একটি গুণ রয়েছে এটি আমাদের ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী। আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য তুলসির পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্রণের সমস্যা এবং ব্রণের কালো দাগ দূর করার জন্য তুলসী পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডিমের সাদা অংশ - ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য ডিমের সাদা অংশ বেশ কার্যকরী। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় ভালোভাবে লাগিয়ে এরপরে ঘুমাতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো হবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। যার ফলে মুখের ব্রণের সমস্যা এবং ব্রণের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

দারুচিনি এবং গোলাপজল - ব্রণের কালো দাগ দূর করার জন্য দারুচিনি এবং গোলাপ জল বেশ কার্যকরী। ২ চামচ পরিমাণ দারুচিনি এবং ২ চামচ গোলাপ জল নিয়ে ভালোভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে এরপরে এটিকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এ ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।

মধু এবং গোলাপজল - আরো একটি প্রয়োজনীয় ফেসপ্যাক হল মধু ও গোলাপজল। আমাদের ত্বকের জন্য মধু কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা ইতিমধ্যেই জানি। মধুর মধ্যে যদি সমপরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে এই প্যাকটিকে মুখে ব্যবহার করা যায় তাহলে মুখে ব্রণের কালো দাগ দূর হবে।

লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

লেবু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটা উপকারী। এছাড়া লেবুর আরো একটি বিশেষ গুণ রয়েছে সেটি হলো আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য। ব্রণ মুখের সৌন্দর্য অনেকটা নষ্ট করে দেয়। সাধারণত কিশোর কিশোরীরা এই ব্রণের সমস্যায় বেশি ভোগে থাকে। যদি মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করা যায় তাহলে মুখে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব মা দিবস পালনের ইতিহাস

১। লেবুর রসের যে এসিড উপাদান রয়েছে সেটি ব্রণ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সামান্য লেবুর রস হাতে নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ব্রনের উপর বেশি করে লাগাতে হবে। এরপরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে তারপরে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

২। লেবুর রসের সাথে যদি মধু মিশিয়ে সেটি মুখে ব্যবহার করা যায় তাহলে এটি ব্রণের সমস্যা দূর করতে অনেকটাই সাহায্য করবে। লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে সেটি মুখে ব্যবহার করতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট এর জন্য।

৩। লেবুর রস এবং শসার রস আমাদের মুখে ব্রণের কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। লেবুর রস বের করে এবং সমপরিমাণ শসা রস করে সেগুলোকে মুখে ব্যবহার করতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য। এরপরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। উপরে ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায় আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো অবলম্বন করতে পারেন।

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের কারণে আমাদের ব্রণের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। তাই প্রথমে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে লেবুর সবথেকে ভালো ঘরোয়া পদ্ধতি। কারণ লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড তৈলাক্ত ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করার সাথে সাথে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে ত্বককে ব্রণ হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।

মধুর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হতে বাধা প্রদান করে। ত্বকের মসুরাইজারের স্তর ঠিক রাখে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি সতেজ লেবু থেকে এক চামচ রস নিয়ে সাথে সমপরিমাণ মধু নিয়ে একটি পাত্রে ভালোভাবে মেশাতে হবে।

ভালোভাবে মেশানোর পর দুইটি উপাদান গাঢ় লিকুইড পরিণত হবে। এইবার এই লিকুইড গুলো আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। লাগানোর পরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভালোভাবে রেখে দিন। এরপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

এই প্যাকটি ব্যবহার করার পর আপনার ত্বকের ব্রণ অনেকটাই কম হবে। এছাড়া আপনার ত্বকে যদি আগে ব্রণের দাগ থাকে তাহলে সেগুলো খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে এবং আপনার উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এটি ব্যবহার করুন।

ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায় আলোচনা করেছে সাধারণত ছেলেরা যদি এ পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে তাহলে তাদের ক্ষেত্রেও ব্রণ এবং পূরণের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। তবুও ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। চলুন ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

বরফ ব্যবহার করা যেতে পারে - আপনি চাইলে আপনার বাসায় থাকা বরফ দিয়ে ব্রণের চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। বরফের ঠান্ডা ভাব ব্রণ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এর জন্য প্রথমে ত্বককে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপরে একটি বরফের টুকরা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে কয়েক মিনিট ব্রণের ওপর ঘষতে হবে।

পেঁপে ব্যবহার করা যেতে পারে - পেঁপে ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি ত্বক থেকে বাড়তি তেল দূর করতে এবং মুখের মৃত কোষ গুলো জীবিত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রথমে কয়েক টুকরো পেঁপে নিয়ে ব্লেন্ডার করে নিতে হবে। এরপরে সেগুলোকে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিটে এর জন্য রেখে দিতে হবে। পরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার - ডিমের সাদা অংশ ব্রণের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করার আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। দুইটি ডিমের সাদা অংশ বের করে নিতে হবে। এরপরে নরম ব্রাশ অথবা হাত দিয়ে ব্রণের মধ্যে সাদা অংশ লাগাতে হবে।

আমাদের শেষ কথাঃ ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায়

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে ব্রণের কালো দাগ দূর করার সেরা ১০টি সহজ উপায়, লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়, তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায়, ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আরো পড়ুনঃ হিমোগ্লোবিন বেড়ে গেলে কি হয়

আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।২০৭৯১

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url