হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন
হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন এ সম্পর্কে আপনারা যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই আকিদের কি আপনাদের জন্য। অনেকেই হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। চলুন তাহলে হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের অনেকেরই অনেক সময় হঠাৎ করে শুকনো কাশিয়ে উঠে থাকে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই কিন্তু এটি যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে অনেক সমস্যার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন এ সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন তাহলে হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন
ভূমিকা
কাশি একটি সাধারন রোগ কিন্তু যদি দীর্ঘদিন ধরে থাকে। তখন এটি আপনার জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও একটি সামাজিক জীবনের সমস্যার সৃষ্টি করে। এটা এমন একটি সমস্যা যা যেকোনো সময় যে কারর হতে পারে। যখনই আবহাওয়াতে সামান্য পরিবর্তন হয় তখন প্রথম প্রভাবটি আমাদের দেহে পড়ে এবং শীতকালীন অসুস্থতা যেমন কাশি আমাদের বাধা দেয়। আর এ ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য অনেকে বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকেন হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবে এর সম্পর্কে জানার জন্য। চলুন তাহলে আর দেরি না করে হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন
শুকনো কাশি যে কোন সময় হতে পারে। তাই আমাদের সকলকে হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন এ সম্পর্কে জানতে হবে। অমিক্রণের কারণে শুকনো কাশি বা খুশখুসে কাশি হয়ে থাকে। যার কারণে গলায় ব্যথা হয়ে থাকে। অনেকে এ শুকনো কাশিতে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। এ সময় জ্বর, কাশি যাই হোক আইসোলেশনে থাকবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ঔষধ খাওয়া ঠিক না। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে বুঝবেন আপনার জলাতঙ্ক রোগ হয়েছে
হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন-
- মধু- মধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য কাশি কমাতে সাহায্য করে। রোজ এক চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন অথবা লিকার চায়ে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
- হলুদ- হলুদে কারকিউমিন নামে যে উপাদান আছে তার জীবাণুরোধী ও অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি হিসেবে কাজ করে। এক গ্লাস দুধে এক চা চামচ হলুদ ও আট ভাগের এক চা চামচ গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে পান করুন।
- আদা- আদাতেও যে অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি ও জীবাণুররোধী উপাদান আছে তা কফ দূর করতে সাহায্য করে। আদা কুচি করে পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করুন আবার লিকার চায়ে আদা কুচি ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
- তুলসী- তুলসী পাতাতে ভিটামিন সি ও জিংক আছে, যা প্রদাহ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
- মসলা চা- পানিতে লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ ইত্যাদি গরম মসলা মিশিয়ে জাল দিয়ে সেই হারবাল টি পান করুন। এতে গলার প্রদাহ কমবে আর কাশি দূর হবে।
- রসুন- রসুনের অ্যালিসিন উপাদান জীবাণু ধ্বংসের উপকারী ভূমিকা রাখে। রোজ সালাদের সঙ্গে একটু রসুন কুচি কিংবা গরম সুপে রসুন কুচি মিশিয়ে খান।
শুকনো কাশি হলে করণীয়
শুকনো কাশি বা খুসখুসে কাশি একটি বিরক্ত কর ও বিবর্তক অসুখ। একবার কাশি শুরু হলে যেন থামতে চাই না। যখন তখন যেখানে সেখানে শুরু হয়ে যেতে পারে এই কাশি। সবার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমস্যা না থাকলেও দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সবারই করে। বিভিন্ন কারণে এই শুকনো কাশি হতে পারে যেমন-শ্বাসনালী আক্রান্ত বা সংক্রান্ত, ধুলাবালি থেকে হাঁপানি অথবা এলার্জি, ক্যান্সার অথবা যক্ষা ইত্যাদি কারণে এই শুকনো কাশি হতে পারে। বড় ধরনের আকার ধারণ করার আগেই আমাদের জানতে হবে যে হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন এ সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক শুকনো কাশি হলে করণীয় কি।
শুকনো কাশি হলে করণীয়-
- ধূমপান ও বায়ু দূষণ কাশির একটি অন্যতম কারণ। তাই ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ধূমপান করে এমন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।
- ধুলাবালিতে কাশি হলে ঘর ঝাড়ু দেওয়া বা ঝুল ঝাড়ু ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।
- ঠান্ডায় সমস্যা হলে গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন খুব ঠান্ডা পানি খাবেন না।
- লিকার চা অথবা কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস গরম করে খান। আপনি চাইলে গরম স্যুপ খেতে পারে। এগুলো কাশি সরাতে সাহায্য করে।
- গরম পানির ভাব নিতে পারেন, দীর্ঘদিন ধরে কাশিতে ভুগলে বিশেষ করে ধূমপান করেন এমন ব্যক্তি সতর্ক হোন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শুকনো কাশি হলে কি করা উচিত
শুকনো কাশি অনেক কারণে হতে পারে সঠিক কারণ চিহ্নিত করতে পারলে তা সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যমে তা তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে। শুকনো কাশি অনেক সময় আমাদের অনেক ধরনের সমস্যায় ফেলে দেয়। তাই শুকনো কাশি থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই অনেক জায়গায় খোঁজ করে থাকেন হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন এ সম্পর্কে জানার জন্য। শুকনো কাশি সাধারণত অনেক বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। শুকনো কাশি অনেক সময় বুকে ব্যথার ও কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শুকনো কাশি হলে কি করা উচিত-
- মধু- শুকনো কাশি অপসারণের জন্য প্রতিদিন এক চামচ মধু গ্রহণ করুন।
- গরম পানি- ১ গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ যোগ করে এবং সকাল-সন্ধ্যায় শেবন করলে এটি শুকনো কাশি দূর করে।
- কালো মরিচ- কালো মরিচ কেউ কাশির জন্য ভালো উপায় বলা হয়। কালো মরিচ গুঁড়ো করুন এবং ঘিতে ভাজুন। এবং গলা এবং শুকনো কাশি থেকে রক্ষা পান।
- মসলা চা- বেসিল, কালো মরিচ এবং আদা চা শুকনো কাশি অপসারণ এর সেরা বলে মনে করা হয়।
- বেসিল গুচ্ছ- বেসিলের পাতা গুরো করে নিন এবং রস বের করুন তারপর এতে আদা ও মধু মিশিয়ে পান করুন।
- আদা- আদা একটি ফুটিয়ে রস বার করে পান করা গেলে কাশি তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে।
- হলুদ- হলুদের অনেক আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য আছে। শুকনো কাশির চিকিৎসার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এক চা চামচ হলুদ এবং এক চা চামচ কালো মরিচ মিশিয়ে নিন আপনি চাইলে দারুচিনিও দিতে পারেন এটি ফোটান এবং তারপর ধীরে ধীরে একটি খান।
- লেবু- এক চা চামচ মধু ২ চা চামচ লেবুর রসে মেশান এবং দিনে চারবার এটি গ্রহণ করুন।
- রসুন- রসুন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা অবিলম্বে গলার কাশি নিরাময় করতে সাহায্য করে। ১ কাপে দুই বা তিন কোয়া রসুন কুচি করুন এতে মধুমিশান এবং পান করুন।
- পেঁয়াজ- ১ চা চামচ মধুতে ১ চা চামচ রস মিশান এবং দিনে দুইবার সেবন করুন।
শুকনো কাশি দূর করার উপায়
বিভিন্ন সময় শুকনো কাশির জন্য সারারাত ঘুমাতে পারেন না অনেকে। তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকে হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন। এ সময় কাশির সঙ্গে গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে এর প্রভাব পরে শরীর ও কাজে। সারাক্ষণ কাশির ফলে গলা ব্যথা হয়ে যায় শুকনো কাশি হলে তো আর কথাই নেই চূড়ান্ত কষ্ট পেতে হয় রোগীকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের কাছে অনেকেই। চলুন আমরা জেনে নেই এবার শুকনো কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে।
শুকনো কাশি দূর করার উপায়-
- মধু- আমরা প্রায় সবাই জানি কাশি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মা বাচ্চাদের মধু খাওয়ান। উষ্ণ গরম পানির সঙ্গে কিংবা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে মধু খেতে পারেন।
- তুলসী পাতা- তুলসী পাতা এমন একটি পাতা যা ছোট বড় সবার কাশিতেই সমান কার্যকারী ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন কয়েকটি তুলসীপাতা খেলে আপনার শুকনো কাশি তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে। তুলসীর রস সর্দি কাশিতে দারুন কাজ করে। শিশুদের জন্য কয়েকটি তাজা তুলসী পাতার রসের সঙ্গে একটু আদার রস ও মধু দিয়ে খেলে খুব উপকারী।
- এলাচ- এলাচ শুকনো কাশি থেকে মুক্তি দিতে পারে। একটা পানি নিন এবং গ্যাসে বসে তাতে মধু এবং বেশ কয়েকটি ছোট এলাচ দিন এবং ফুটিয়ে নিন। এরপর একটি ঝাঁকুনি দিয়ে ভালোভাবে জল আলাদা করে নিন এবং তা পান করুন।
- হলুদ- হলুদের অনেক আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য আছে। শুকনো কাশির চিকিৎসার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এক চা চামচ হলুদ এবং এক চা চামচ কালো মরিচ মিশিয়ে নিন আপনি চাইলে দারুচিনিও দিতে পারেন এটি ফোটান এবং তারপর ধীরে ধীরে একটি খান।
শেষ কথাঃ শুকনো কাশি থেকে পরিত্রাণের উপায় কি
সাধারণত ঠান্ডা লাগার কারণে কাশি হয় তবে কোন কোন সময় হঠাৎ শুকনো কাশি হয়ে থাকে যার কারণ হিসেবে ধরা হয় এলার্জি, অ্যাজমা, ধূমপান ও শুষ্ক আবহাওয়া এবং এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। অনেকেই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকে হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন এ সম্পর্কে। একটানা খুসখুসে কাশি অনেক বিরক্ত কর। অনেক ক্ষেত্রে আবার কফ জমাট বেধে ভয়ানক কাশি ও হয়। একটু সচেতন হলে ঔষধ না খেয়েও এই শুকনো কাশি থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব।
আদার অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি উপাদান গলার অস্বস্তিকর ভাব দূর করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন। শুকনো কাশি কমাতে এক কাপ পানিতে সামান্য পরিমাণ হলুদের গুঁড়ো এবং মৌরি দিয়ে হারবাল চা বানিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া শুকনো কাশি ভালো করার জন্য পেঁয়াজও খেতে পারেন কারণ পেঁয়াজের ঝাঁজ শুকনো কাশি ভালো করতে সহায়তা করে। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে আপনি আপনার শুকনো কাশি থেকে রেহাই পেতে পারেন।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন হঠাৎ শুকনো কাশি হলে কি করবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১