যে ১০ টি ভয় কাটিয়ে উঠলে আপনিও সফলতা লাভ করতে পারবেন

কিছু ব্যক্তির জন্য, সফলতা বাহ্যিক কারণগুলির সাথে আবদ্ধ হতে পারে যেমন সম্পদ, ক্ষমতা বা মর্যাদা। তারা উচ্চ কর্মজীবনের অবস্থান অর্জন, বস্তুগত সম্পদ সংগ্রহ বা অন্যদের কাছ থেকে স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের সাথে সফলতা যুক্ত করতে পারে। অন্যরা আরও অভ্যন্তরীণ বা অন্তর্নিহিত পদে সফলতাকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে। তারা সফলতাকে ব্যক্তিগত পরিপূর্ণতা খুঁজে পাওয়া, সুখ এবং তৃপ্তি অনুভব করা, সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখা বা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা হিসাবে দেখতে পারে। তাদের জন্য, সাফল্য তাদের ক্রিয়াকলাপ এবং পছন্দগুলিকে তাদের মূল্যবোধ এবং আবেগের সাথে সারিবদ্ধ করা।

জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী সেটা জানা প্রয়োজন। কেননা এমনি এমনি একটা মানুষ কখনো সফলতা অর্জন করতে পারে না। সফল হতে গেলে তার কিছু কৌশল বা মূল মন্ত্র অবশ্যই জানতে হবে। আজকে আপনাদের জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী সে সম্পর্কেই জানানো হবে। জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র-

সফলতা লাভের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ভয়। আপনি যদি সাহসী না হোন, ভীতু হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কখনোই সফলতার মুখ দেখতে পাবেন না। তাই আপনার ভেতর যেসব ভয় বা জড়তা রয়েছে সেগুলো অবশ্যই কাটিয়ে উঠতে হবে। এখন আপনাদের মাঝে যে ১০ টি ভয় কাটিয়ে উঠলে আপনিও সফলতা লাভ করতে পারবেন সে সম্পর্কে জানানো হবে।

ব্যর্থতার ভয়: ব্যর্থতাকে বিপত্তির পরিবর্তে শেখার সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করুন। বুঝুন যে ব্যর্থতা সাফল্যের প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক অংশ এবং এটি আপনাকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। তাই ব্যর্থতাকে গ্রহণ করুন এবং জীবনে সফলতা অর্জন করুন।

প্রত্যাখ্যানের ভয়: প্রত্যাখ্যান হবেন এটাই স্বাভাবিক, স্থিতিস্থাপকতা বিকাশ করুন এবং বুঝুন যে প্রত্যাখ্যান আপনার মূল্যের প্রতিফলন নয়। এগিয়ে যান, প্রতিক্রিয়া খুজুন এবং প্রতিটি অভিজ্ঞতা থেকে শিখুন। এরপর দেখবেন যে প্রত্যাখ্যান হতে হতে একদিন সিলেক্ট হয়ে গেছেন। 

কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ভয়: নতুন জিনিস চেষ্টা করার জন্য নিজেকে চাপ দিন এবং গণনা করা ঝুঁকি নিন। বৃদ্ধি এবং সাফল্য প্রায়শই আপনার কমফোর্ট জোনের বাইরে পা রেখে আসে। সারাজীবন একই জায়গায় আরামে আয়েশে থেকে সাফল্যের মুখ দেখবেন তা হবে না। সফল হতে গেলে আপনাকে কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে কাজ করতে হবে।

সমালোচনার ভয়: স্বীকার করুন যে সবাই আপনার লক্ষ্য এবং সিদ্ধান্তের সাথে একমত হবে না বা সমর্থন করবে না। গঠনমূলক প্রতিক্রিয়ার উপর ফোকাস করুন, অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা উপেক্ষা করুন এবং আপনার মূল্যবোধ এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বাস রাখুন।

অনিশ্চয়তার ভয়: জীবনের একটি অংশ হিসাবে অনিশ্চয়তাকে আলিঙ্গন করুন এবং বুঝুন যে গণনাকৃত ঝুঁকি নেওয়া নতুন সুযোগ এবং বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে নিশ্চয়তাকে খুজে বের করুন।

পরিবর্তনের ভয়: বুঝুন যে পরিবর্তন অনিবার্য এবং ব্যক্তিগত এবং পেশাদার বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে আপনাকে পরিবর্তন হতে হবে, আপনার পরিবেশকে পরিবর্তন করতে হবে। ভয় করলে চলবে না। এই ভয়কেই জয় করে সফলতা অর্জন করতে হবে।

সাফল্যের ভয়: অনেকেই রয়েছে যে কাজ শুরু করার আগেই সফলতা নিয়ে ভয় করে। কোন কাজ শুরুর পূর্বে মনে এইটুকু সাহস রাখতে হবে যে আমি পারবো এবং সেই সাহসে এগিয়ে যেতে হবে গন্তব্যের দিকে এবং সমস্ত ভয় কাটিয়ে সফলতা অর্জন করে ফিরতে হবে।

দায়িত্ব নেওয়ার ভয়: আপনার কাজ এবং সিদ্ধান্তের মালিকানা নিন। দায়িত্ব গ্রহণ আপনাকে ইতিবাচক পরিবর্তন করতে এবং আপনার জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম করে। তাই দ্বায়িত্ব নিতে ভয় পাবেন না। যেকোন দ্বায়িত্ব সাহসের সাথে নিবেন এবং সেটা আত্মবিশ্বাসের সাথে করে ফেলবেন। 

বিচার বিবেচনার ভয়ঃ স্বীকার করুন যে প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত এবং রায় আছে। আপনার নিজের যাত্রায় মনোনিবেশ করুন এবং আপনার ক্ষমতায় বিশ্বাসী সহায়ক ব্যক্তিদের সাথে নিজেকে ঘিরে রাখুন। অন্য মানুষ আপনাকে কিভাবে বিচার করলো সেটা ভাবা একদমই উচিত হবে না।

প্রত্যাশা পূরণ না করার ভয়: সামাজিক বা বাহ্যিক প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্য না করে আপনার নিজের শর্তে সাফল্যকে সংজ্ঞায়িত করুন। নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করার পরিবর্তে ব্যক্তিগত বৃদ্ধি এবং পরিপূর্ণতার দিকে মনোনিবেশ করুন দেখবেন যে আপনি আপনার অজান্তেই সফল হয়ে বসে রয়েছেন।

মনে রাখবেন যে ভয় কাটিয়ে উঠা একটি ধীরে ধীরে প্রক্রিয়া, এবং এটি সময় এবং প্রচেষ্টা দ্বারা হয়। আপনার সমর্থন সন্ধান করুন, আত্ম-সহানুভূতি অনুশীলন করুন এবং সেই পথ ধরে ছোট বিজয় উদযাপন করুন। তাহলেই দেখবেন আপনি জীবনে সফল হতে পারবেন।

জীবনে সফলতার চাবিকাঠি কি সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি। কেননা এমনি এমনি কেউ জীবনে সফল হতে পারে না। কৌশল, উপায় প্রয়োগ করে তারপরেই সকলে সফল হতে পারেন। আর আমার কাছে এই সফলতার চাবিকাঠি হচ্ছে ধৈর্যের সাথে পরিশ্রম করা, জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করা এবং সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। কোন ব্যক্তি যদি তার অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা পরিশ্রমের সাথে বাস্তব জীবনে কাজে লাগায় তাহলে সে ব্যক্তি সফল হবে তার রয়েছে শতভাগ গ্যারান্টি।