ইভ্যালি সাইক্লোন অফার কি - ইভ্যালি সাইক্লোন অফারের নামে প্রতারণা

প্রায় কমবেশি আমরা সকলেই ইভ্যালির সাথে পরিচিত। অনেকেই ইভ্যালি থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকি। পণ্য ক্রয় করতে যেয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে ইভ্যালি কি জায়েজ? সাধারণত মানুষের কাছে এই প্রশ্নটিই জাগ্রত হওয়া খুবই স্বাভাবিক কেননা ইভ্যালি যে প্রক্রিয়ায় পণ্য বিক্রি করে তা খুবই সমালোচনাজনক।ইভ্যালি থেকে একটি পণ্য অর্থাৎ একটি দামি পণ্য অর্ডার করলে সেটা পৌঁছাতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে।

আপনার কাছ থেকে এই যে অগ্রিম টাকা নিয়ে তারা তিন মাস রেখে দেয় এবং পরবর্তীতে পণ্য প্রদান করে এটি কি আসলে জায়েজ কিনা সে সম্পর্কে অবশ্যই জানা প্রয়োজন। আপনার কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা ইভ্যালি নিবে আপনাকে যদি সে মূল্যের পণ্য পরবর্তীতে প্রদান করে তাহলে সেটা ঠিক আছে।কিন্তু আপনাকে যদি বলে আপনার প্রত্যাশিত পণ্যটি এখন তাদের কাছে নাই অন্য পণ্য নিতে হবে।আপনি আবার টাকা ফেরত চাইলে যদি তারা টাকা ফেরত না দেই বা অন্য পণ্য কিনতে চাপ দেই তাহলে সেটা জায়েজ হবে না।আশা করি ইভ্যালি কি জায়েজ কিনা বুঝতে পেরেছেন।এখন চলুন ইভ্যালি সাইক্লোন অফার কি জেনে নিন।

ইভ্যালি সাইক্লোন অফারের নামে প্রতারণা করেছিল বলে ধারণা করা হয়। কিছুদিন পূর্বে ইভ্যালি একটি ঘটনা ঘটেছিল যে ইভ্যালি সাইক্লোন অফারের নামে প্রতারণা। অর্থাৎ ইভ্যালি অনেক বেশি ছাড়া অনেক বেশি দামি জিনিস ক্রয়ের অফার দিয়েছিল এবং মানুষ তাতে বিশ্বাস করে অগ্রিম টাকা দিয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে পণ্য পায়নি বলে দাবি করেছিল। এই নিয়ে অনেক বড় একটা বিপদের সম্মুখীন হয়েছিল।

ইভ্যালি সাইক্লোন অফারের নামে প্রতারণার  দ্বায়ে সেই সময় ইভ্যালির চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।এই বেশি ছাড়ে বেশি দামী পণ্য কেনার এই অফারটি ভালোভাবে ইভ্যালি সামলাতে পেরেছিলনা বলে মানুষের মনে ইভ্যালি সাইক্লোন অফারের নামে প্রতারনার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।আর এই বিষোয়ের জন্যই ইভ্যালি সাইক্লোন অফারের নামে প্রতারনা করেছিল বলে ধারণা করা হয়।